Description:... শিরডির সাইবাবা পরমাত্মার অনন্ত কৃপাঘন রূপ। যুগের প্রয়োজনে সকল ধর্ম নির্বিশেষে ভক্তদের উদ্ধারের জন্যই ব্রহ্মা-বিষ্ণু-মহেশ্বরের সম্মিলিত রূপ ভগবান দত্তাত্রেয়ই সাই অবতার রূপে নেমে এসেছিলেন পৃথিবীতে। সবাইকে ভালবেসে কাছে টেনে এগিয়ে দিয়েছিলেন মুক্তির পথে। সময়ের সাথে সাথে স্বাভাবিকভাবেই সাইবাবার মরদেহ লয়প্রাপ্ত হয়; স্থূলদেহ তাঁকে ত্যাগ করতে হয় প্রকৃতির নিয়মেই। কিন্তু স্থূলদেহ ত্যাগ করলেও ভক্তদের ছেড়ে আজো যাননি তিনি। ভক্তদের ভালবাসার বন্ধন বরণ করে আজো এই পৃথিবীতেই তিনি লীলা করে চলেছেন। কোন কোন ভাগ্যবান শুধু সেই লীলার পরশটুকু পায়।তেমনই এক ভাগ্যবান ব্যক্তিত্ব ছিলেন ধর্মেশ মালহোত্রা। শিরডিতেই এক রহস্যময় সাই সাধকের কৃপায় ধর্মেশজীর জীবনে সাইলীলার অভিজ্ঞতা সম্বন্ধে অবগত হই আমি। সাইজীর মুখ থেকে ধর্মেশজীর কাহিনী শুনতে শুনতে অপার বিস্ময়ে ভরে যায় আমার মন। স্বয়ং সাইবাবার অপার কৃপায় তাঁর জন্ম। ছেলেবেলায় স্বয়ং সাইবাবা তাঁকে আধ্যাত্মিক জগতে নিয়ে আসেন এবং প্রস্তুত করে দেন আগামী দিনের সুবিশাল কর্মযজ্ঞের জন্য। সেইসাথে শিরডির সমাধি মন্দিরে তিনিই ধর্মেশজীর মধ্যে অলৌকিক শক্তির সঞ্চার করে দেন মানবসেবার জন্য। ধর্মেশজীও তা যথাযথভাবে অনুসরণ করতে থাকেন। ক্রমশঃ একজন দৈবনির্দিষ্ট ভবরোগবৈদ্যরূপে ঘটে তাঁর আত্মপ্রকাশ। অসংখ্য মানুষ তাঁর সান্নিধ্যে এসে উপকৃত হতে থাকেন; তাঁর হাতের স্পর্শ ও মন্ত্রজপের সাহায্যে বহু আর্তের কল্যাণ হতে থাকে অলৌকিক ভাবে। কিন্তু সেই সময়েই তাঁর ভিতরে বাসা বাঁধে অহংকার। আর অহংকার-কে অলংকার করে যারা জীবনপথে অগ্রসর হতে চান তাঁদের উপর তো নেমে আসে নিয়তির আঘাত। ধর্মেশজীর ক্ষেত্রেও অন্যথা হয়নি। যে শক্তির বলে নিজেকে তিনি ভগবান মনে করছিলেন সেই শক্তি সহসাই নিঃশেষ হয়ে যায় এবং জগৎজীবনের প্রকৃত স্বরূপ ধরা পড়ে তাঁর চোখে। সেইসময়েও সাইবাবা এসে দাঁড়ান তাঁর পাশে। পূর্ব জন্মের সুকৃতি অনুসারে একদিন যে সাইবাবা তাঁকে নিয়ে এসেছিলেন অধ্যাত্মজগতে এবং মানবকল্যাণের জন্য তাঁর মধ্যে করেছিলেন প্রভূত শক্তির সঞ্চার সেই সাইবাবাই ফিরে আসেন ধর্মেশজীর বিপদের দিনে এবং যথার্থ গুরুর মতই দেখিয়ে দেন পথ। তাঁরই নির্দেশে সাইবৃত্তি গ্রহণ করেন ধর্মেশজী। কালক্রমে প্রায়শ্চিত্ত সেরে তিনি ফিরে আসেন মুক্তির পথে এবং যথাসময়ে পরমার্থলাভ করে ধন্য হন। স্বয়ং সাইবাবাই তাঁর পাশে থেকে তাঁকে পৌঁছে দেন আলোর ঠিকানায়।একজন অধ্যাত্মশক্তিসম্পন্ন মহাত্মাও কিভাবে মায়ার প্রভাবে অহংকারের শিকার হয়ে পথভ্রষ্ট হন এবং কিভাবে পরম করুণাময় সাইবাবার কৃপায় তিনি মুক্তির পথে পুনরায় ফিরে আসেন সেই লীলাকাহিনী শুনে মুগ্ধ হয়েছিলাম আমি। আর তাই আমার সেই মুগ্ধতার আবেশ এই গ্রন্থের মাধ্যমে আমি ভাগ করে নিতে চেয়েছি আমার আত্মার আত্মীয় পাঠক-পাঠিকাদের সাথে। সেইসাথে এই গ্রন্থে সাইবাবার সংক্ষিপ্ত পূর্ণাঙ্গ জীবনকাহিনী তুলে ধরেছি। তুলে ধরেছি বিভিন্ন ভক্তদের জীবনে সাইবাবার বিদেহলীলার অনুপম অভিজ্ঞতার কথা। আমার মত সকল ভক্ত পাঠক-পাঠিকারাও যাতে এই গ্রন্থ পাঠ করে সাইবাবার মহাজীবনের তথা তাঁর বিদেহলীলার অমৃতমথিত কৃপারস আস্বাদ করতে পারেন সেইজন্যই আমার এই গ্রন্থরচনার প্রয়াস।
শিরডির সাইবাবা পরমাত্মার অনন্ত কৃপাঘন রূপ। যুগের প্রয়োজনে সকল ধর্ম নির্বিশেষে ভক্তদের উদ্ধারের জন্যই ব্রহ্মা-বিষ্ণু-মহেশ্বরের সম্মিলিত রূপ ভগবান দত্তাত্রেয়ই সাই অবতার রূপে নেমে এসেছিলেন পৃথিবীতে। সবাইকে ভালবেসে কাছে টেনে এগিয়ে দিয়েছিলেন মুক্তির পথে। সময়ের সাথে সাথে স্বাভাবিকভাবেই সাইবাবার মরদেহ লয়প্রাপ্ত হয়; স্থূলদেহ তাঁকে ত্যাগ করতে হয় প্রকৃতির নিয়মেই। কিন্তু স্থূলদেহ ত্যাগ করলেও ভক্তদের ছেড়ে আজো যাননি তিনি। ভক্তদের ভালবাসার বন্ধন বরণ করে আজো এই পৃথিবীতেই তিনি লীলা করে চলেছেন। কোন কোন ভাগ্যবান শুধু সেই লীলার পরশটুকু পায়।
তেমনই এক ভাগ্যবান ব্যক্তিত্ব ছিলেন ধর্মেশ মালহোত্রা। শিরডিতেই এক রহস্যময় সাই সাধকের কৃপায় ধর্মেশজীর জীবনে সাইলীলার অভিজ্ঞতা সম্বন্ধে অবগত হই আমি। সাইজীর মুখ থেকে ধর্মেশজীর কাহিনী শুনতে শুনতে অপার বিস্ময়ে ভরে যায় আমার মন। স্বয়ং সাইবাবার অপার কৃপায় তাঁর জন্ম। ছেলেবেলায় স্বয়ং সাইবাবা তাঁকে আধ্যাত্মিক জগতে নিয়ে আসেন এবং প্রস্তুত করে দেন আগামী দিনের সুবিশাল কর্মযজ্ঞের জন্য। সেইসাথে শিরডির সমাধি মন্দিরে তিনিই ধর্মেশজীর মধ্যে অলৌকিক শক্তির সঞ্চার করে দেন মানবসেবার জন্য। ধর্মেশজীও তা যথাযথভাবে অনুসরণ করতে থাকেন। ক্রমশঃ একজন দৈবনির্দিষ্ট ভবরোগবৈদ্যরূপে ঘটে তাঁর আত্মপ্রকাশ। অসংখ্য মানুষ তাঁর সান্নিধ্যে এসে উপকৃত হতে থাকেন; তাঁর হাতের স্পর্শ ও মন্ত্রজপের সাহায্যে বহু আর্তের কল্যাণ হতে থাকে অলৌকিক ভাবে। কিন্তু সেই সময়েই তাঁর ভিতরে বাসা বাঁধে অহংকার। আর অহংকার-কে অলংকার করে যারা জীবনপথে অগ্রসর হতে চান তাঁদের উপর তো নেমে আসে নিয়তির আঘাত। ধর্মেশজীর ক্ষেত্রেও অন্যথা হয়নি। যে শক্তির বলে নিজেকে তিনি ভগবান মনে করছিলেন সেই শক্তি সহসাই নিঃশেষ হয়ে যায় এবং জগৎজীবনের প্রকৃত স্বরূপ ধরা পড়ে তাঁর চোখে। সেইসময়েও সাইবাবা এসে দাঁড়ান তাঁর পাশে। পূর্ব জন্মের সুকৃতি অনুসারে একদিন যে সাইবাবা তাঁকে নিয়ে এসেছিলেন অধ্যাত্মজগতে এবং মানবকল্যাণের জন্য তাঁর মধ্যে করেছিলেন প্রভূত শক্তির সঞ্চার সেই সাইবাবাই ফিরে আসেন ধর্মেশজীর বিপদের দিনে এবং যথার্থ গুরুর মতই দেখিয়ে দেন পথ। তাঁরই নির্দেশে সাইবৃত্তি গ্রহণ করেন ধর্মেশজী। কালক্রমে প্রায়শ্চিত্ত সেরে তিনি ফিরে আসেন মুক্তির পথে এবং যথাসময়ে পরমার্থলাভ করে ধন্য হন। স্বয়ং সাইবাবাই তাঁর পাশে থেকে তাঁকে পৌঁছে দেন আলোর ঠিকানায়।
একজন অধ্যাত্মশক্তিসম্পন্ন মহাত্মাও কিভাবে মায়ার প্রভাবে অহংকারের শিকার হয়ে পথভ্রষ্ট হন এবং কিভাবে পরম করুণাময় সাইবাবার কৃপায় তিনি মুক্তির পথে পুনরায় ফিরে আসেন সেই লীলাকাহিনী শুনে মুগ্ধ হয়েছিলাম আমি। আর তাই আমার সেই মুগ্ধতার আবেশ এই গ্রন্থের মাধ্যমে আমি ভাগ করে নিতে চেয়েছি আমার আত্মার আত্মীয় পাঠক-পাঠিকাদের সাথে। সেইসাথে এই গ্রন্থে সাইবাবার সংক্ষিপ্ত পূর্ণাঙ্গ জীবনকাহিনী তুলে ধরেছি। তুলে ধরেছি বিভিন্ন ভক্তদের জীবনে সাইবাবার বিদেহলীলার অনুপম অভিজ্ঞতার কথা। আমার মত সকল ভক্ত পাঠক-পাঠিকারাও যাতে এই গ্রন্থ পাঠ করে সাইবাবার মহাজীবনের তথা তাঁর বিদেহলীলার অমৃতমথিত কৃপারস আস্বাদ করতে পারেন সেইজন্যই আমার এই গ্রন্থরচনার প্রয়াস।
به شما اطمینان می دهیم در کمتر از 8 ساعت به درخواست شما پاسخ خواهیم داد.
* نتیجه بررسی از طریق ایمیل ارسال خواهد شد
شماره کارت : 6104337650971516 شماره حساب : 8228146163 شناسه شبا (انتقال پایا) : IR410120020000008228146163 بانک ملت به نام مهدی تاج دینی